আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করবেন নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে , এবং ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয় সমস্ত কিছু আজকের এই প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো ।
Table of Contents
ট্রেড লাইসেন্স কেন আমাদের করা প্রয়োজন
ট্রেড লাইসেন্স মূলত আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি থাকে সেক্ষেত্রে এই লাইসেন্সটির প্রয়োজন পড়ে এই লাইসেন্সটি খুব সহজে তৈরি করা যায়।Table of Contents
ট্রেড লাইসেন্স করার পর আমাদের সুবিধা গুলো কি কি পাব
ট্রেড লাইসেন্স করলে মূলত আপনারা যে সুবিধা গুলো পাবেন সেগুলি হল ব্যাংকে থেকে আপনি লোন নিতে পারবেন ব্যবসা নাম করে এবং ব্যবসার জন্য কারেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন নতুন ইলেকট্রিক মিটার ও নিতে পারবেন দোকানের নামে এবং আরো অনেক কিছু সুযোগ সুবিধা আছে এই ট্রেড লাইসেন্স যদি আপনাদের থাকে।ট্রেড লাইসেন্স কারা আবেদন করতে পারবে
ট্রেড লাইসেন্স মূলত যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে তারা সবাই আবেদন করতে পারবেন ।এখানে বয়স হতে হবে ১৮ বছরের উপরে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগবে
ট্রেড লাইসেন্স করতে প্রথমত ৩ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা হয় , ট্রেড লাইসেন্স করতে বিভিন্ন রকম খরচ হয় তো আপনারা চাইলে মিনিমাম তিন বছরের জন্য একটি Not paying Professional Tax এই অপশন আপনি যদি ক্লিক করেন তবে আপনাকে ৩ বছরের জন্য শুধুমাত্র ১৫০ টাকা চার্জ লাগবে এই ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য
যদি আপনাদের ছোট ব্যবসা হয় সেক্ষেত্রে আপনি ১৫০ টাকার এই ট্রেড লাইসেন্স করতে পারবেন , যদি আপনাদের আরো বড় ব্যবসা হয় সে ক্ষেত্রে সেই নিয়ম অনুযায়ী কিছু টাকা বেশি লাগবে এবং যদি আপনাদের সাইবার ক্যাফে জেরক্স সেন্টার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ৩ বছরের জন্য ৪৫০ টাকা লাগবে।
ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে
১. আবেদনকারীর আধার কার্ড , ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড , প্যান কার্ড , জব কার্ড , পাসপোর্ট , রেশন কার্ড ( এরমধ্যে যে কোন একটি ডকুমেন্ট লাগবে) ।
২. জমির রেকর্ড ।
এই সমস্ত ডকুমেন্টগুলো থাকলে আপনারা আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ।
ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে আবেদন করবেন দেখে নিন
ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার জন্য অবশ্য আপনাকে অনলাইন দেখা আবেদন করতে হবে ।
১. সর্ব প্রথম আপনাকে wbprdgpms। এই লিংকে যেতে হবে ।
২. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর Trade N.O.C. বলে একটু অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন ।
৩. ক্লিক করার পরে আপনার সামনে পুরো আবেদনে পত্রটি খুলে যাবে ।
৪. এবার ফর্মটা ফিলাপ করার জন্য আপনার জেলার নাম লিখবেন ডিস্ট্রিক্ট এর জায়গায় , তারপর ব্লকের নাম তারপর আপনার যে পঞ্চায়েত এরিয়া সে পঞ্চায়েতের নামটি সিলেক্ট করবেন ।
৫. Name Of Trade জায়গায় আপনার দোকানের নাম লিখতে হবে ।
৬. তারপরে আপনার দোকানটি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ছে সেটি সিলেক্ট করবেন যদি আপনার দোকানটি সাইবার ক্যাফে হয়ে থাকে তাহলে সাইবার ক্যাফে সিলেক্ট করে দেবেন ।
৭. তারপর আপনার পুরো ঠিকানা এবং জমির তথ্যগুলো রেকর্ড থেকে দেখে দেখে লিখে দেবেন ।
৮. এবার এপ্লিকেন্ট এর ডিটেলস চাইছে যিনি আবেদন করছেন দোকানের মালিক তার নাম লিখতে হবে এবং তার পিতার নাম তার একটি আইডেন্টিটি প্রুফ হিসেবে ডকুমেন্ট দিতে হবে সে কি ডকুমেন্ট দিতে চাইছে সেটা সিলেক্ট করতে হবে এবং সেই ডকুমেন্টের নাম্বারটি তার পাশে লিখতে হবে এবং শেষে মোবাইল নাম্বারটা লিখে দেবেন মোবাইল নাম্বার লেখার জায়গায় ।
৯. Organization Details - এর জায়গায় নাম্বার অফ এমপ্লয় ওখানে আপনার দোকানে কতজন কাজ করছে সেটা লিখতে হবে ।
১০. Category Of fees - এখানে যদি আপনাদের ছোট ব্যবসা হয়ে থাকে এবং আপনারা যদি প্রফেশনাল ট্যাক্স না দিয়ে থাকেন তাহলে প্রথমের অপশনটা সিলেক্ট করতে পারবেন এবং আপনি ১৫০ টাকার মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্সে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং যদি আপনাদের আরো বড় ব্যবসা হয়ে থাকে কিংবা সাইবার ক্যাফে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাদের অপশন গুলো একটু দেখে নিয়ে আপনি আবেদন করবেন।
১১. শেষে শুধুমাত্র আইডি প্রুফ হিসেবে একটি ডকুমেন্ট এবং ল্যান্ড রেকর্ড যে জমির রেকর্ড সেটি আপলোড করে দিয়ে সাবমিট করে দিন
এবারে আপনাকে পেমেন্ট করতে বলবে আপনি পেমেন্ট করে দেওয়ার পরেই ট্রেড লাইসেন্স টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।