ই শ্রম কার্ড কী (E Shram Card)?
ই শ্রম কার্ড এটি ভারত সরকার চালু করেছেন প্রধানত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে যারা কোন রকম নির্দিষ্ট আয় উৎস পায়না তারা এই কার্ডের মাধ্যমে আবেদন করলে নানান রকম সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পাবেন যেমন পেনশন, দুর্ঘটনা জনিত বীমা, গৃহ নির্মাণ সহায়তা ইত্যাদি |
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা কি কি?
• আর্থিক সুবিধা - শ্রম কার্ডে আবেদন করলে ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন |
• দুর্ঘটনা জনিত বীমা - ই শ্রম কার্ডে যদি আবেদন করে থাকেন এবং কোনও দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ভাবে অক্ষম হলে তবে তাকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে |
• গৃহ নির্মাণ সহায়তা - যে সমস্ত উপ ভক্তদের বাড়ি নেই তাদের বাড়ি তৈরি করার জন্য আর্থিক সহায়তা পাবে |
ই শ্রম কার্ডের জন্য যোগ্যতা
ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করার জন্য আবেদনকারী শ্রমিকদের যে সমস্ত যোগ্যতা গুলি থাকা প্রয়োজন সেগুলি নিম্নে দেওয়া হলো :
• আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে |
• অসংগঠিত ক্ষেত্রের যে কোন কর্মী আবেদন করতে পারেন |
• যদি আপনি EPFO এবং ESIC সদস্য হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না |
ই- শ্রম কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ই শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির যে সমস্ত কাগজপত্র গুলি লাগবে সেগুলি নিম্নে দেওয়া হলো :
• আবেদনকারী ব্যক্তির আধার কার্ড |
• আবেদনকারী ব্যক্তির ব্যাংকের পাস বই |
• আধার কার্ডের সাথে যে ফোন নম্বর লিঙ্ক আছে সেই মোবাইল নম্বর |
ই-শ্রম কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
ই শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য আপনি নিজে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে বাড়ি বসে আবেদন করতে পারেন কিভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে আমরা বলে দেব প্রক্রিয়াটির নিম্নরূপ :
• সর্ব প্রথমে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে - https://eshram.gov.in/
• অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করার পর হোমপেজে Register on eShram একটি অপশন পাবেন সেটিতে ক্লিক করবেন |
• এবারে নতুন একটি পেজ খুলবে সেখানে Self Registration এরমধ্যে দেখতে পাবেন যে নম্বরটি আপনার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক আছে সেই নম্বরটি এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে সেন্ড ওটিপিতে ক্লিক করতে হবে |
• পরবর্তী পেজে OTP এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে আধার কার্ড ভেরিফাই করতে হবে।
• যখনই ভেরিফাই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন নতুন একটি পেজ খুলবে সেই পেজে আপনার যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে, যেমন আপনার ঠিকানা আপনার পিতার নাম্বার স্বামীর নাম আপনি যে এখন যে কাজ করছেন সে কাজটি সিলেক্ট করতে হবে এবং ব্যাংকের তথ্য পূরণ করতে হবে এগুলো সম্পন্ন করলেই সর্বশেষে সাবমিট অপশন আছে সেটিতে ক্লিক করলে আপনার ই শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করে রেখে দেবেন |
বিশেষ দ্রষ্টব্য :-
শুধুমাত্র আপনারা ই শ্রম কার্ড করে বসে থাকলে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা কোনোদিনও পাবেন না |
যদি আপনি ই শ্রম কার্ড থেকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকার আর্থিক সুবিধা পেতে চান তবে আপনাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানাধন যোজনা এই প্রকল্পে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে |যদি আপনারা এই প্রকল্পে আবেদন করেন তবে আপনার বয়স যখন ৬০ বছর হবে তখন প্রতি মাসে 3000 টাকা করে পেনশন আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাবেন এই প্রকল্প বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য উপর দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই প্রকল্পের বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন |