উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়েছে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে তাই কৃষকদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে | মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর একটি প্রশাসনিক সভা করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির সাথে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন | এবং সেই সভা থেকে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কি সেই সিদ্ধান্ত বিস্তারিত জানার জন্য আজকের প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন|
বাংলা শস্য বীমার আওতায় আসার নিয়ম কি আছে ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক গুলির পরিস্থিতি :-
এখানে বাংলা শস্য বীমার প্রচলিত নিয়ম অনুসারে যদি কোন ব্লকের ৬০ শতাংশ কৃষকদের জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত যদি হয় তাহলে সেই এলাকার চাষীদের শস্য বিমার সুবিধা প্রদান করা হয় |
কিন্তু এবারে চলতি বছরের এই অতিবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষকদের ফসলের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ করে কিছু জায়গা যেমন ঘাটাল দাসপুর এক এবং দুই ব্লক চন্দ্রকোনা ১ এবং ২ ব্লক কেশপুর ডেবরা ব্লকে এই ব্লক গুলিতে ধান চাষে ব্যাপকভাবে বন্যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে | এখানে ঘাটাল সাব ডিভিশনের পাঁচটা ব্লকে প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার ৭৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে , এখানে প্রায় এক লক্ষ বাইশ হাজার দুশোটি পরিবার এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন |
আবেদনপত্র জমার প্রক্রিয়া
এই বাংলা শস্য বিমায় ইতিমধ্যে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাড়ে ৬ লক্ষ আবেদন ইতিমধ্যে জমা পড়েছে , পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কৃষি ও সেচ দপ্তরের কর্মদক্ষ জানিয়েছেন যে আমরা চাই জেলার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই বাংলা শস্য বিমার আওতায় আসুন | এবারে বন্যা এবং প্রতি বৃষ্টির কারণে কৃষি কাজে কৃষকদের ফসলের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ করে ধান চাষে তাই আমরা চাইছি যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা এই বীমা সুবিধা পান |এর আগে বাংলা শস্য বীমা আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ শে সেপ্টেম্বর কিন্তু জেলা প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে এই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সেই দিনটি যাতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হোক এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই অনুরোধটি মেনে নিয়েছেন |
বীমা সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলো
এবারে এই ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে রাজ্যের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের ফসলের, যাতে সমস্ত কৃষক তাদের ফসলের একটি সুরক্ষা বীমা করতে পারে তার কারণে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে আবারও শস্য বীমা আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য |
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর একটি প্রশাসনিক সভা থেকে একটি সভা থেকে ঘোষণা করেছেন যে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আরো একমাস বৃদ্ধি করা হলো। অর্থাৎ বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকরা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন তাই যারা এখনো পর্যন্ত আবেদন করেননি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের তারা দ্রুত বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন করুন|
সব কৃষকদের ক্ষতি পূরণের টাকা দেবে
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে এই ডানার ঘূর্ণিঝড়ে কারণে ৪৮ ঘন্টা পর যে সকল কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে তাদের জমিতে গিয়ে সেই ক্ষতিপূরণের নির্ণয় করতে হবে। এবং প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। এবং তার জমা করতে হবে |
এবারে যাতে কোন কৃষক এই ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে বলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী , তাই এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত কৃষকরা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন করেননি তারা তাড়াতাড়ি আবেদন করুন |
ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা চেক - Click Here
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ফর্ম - Click Here